নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া যে কোন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত করে আসছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর কোম্পানী কমান্ডার উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লীডার এ কে এম মুনিরুল আলম স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউজ ব্যাংক ২৪ কে জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি এলাকায় সালেহা বেগম নামে ০১ জন নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী মোঃ বাদশা মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-৪৩, তারিখ-২৪/০৯/২০০৬ইং। ঘটনাটি স্থানীয় জনমনে ব্যাপক ভীতির সৃষ্টি করে।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ উক্ত হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ২ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ ভোর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর আভিযানে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী “ ফিরোজ (৩৫)” পিতা- নবী হোসেন, সাং- মিজমিজি দক্ষিণ বাতেন পাড়া, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ’কে ঢাকা জেলার ডেমরা থানাধীন ডগাইর এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ফিরোজ তার সঙ্গীদের নিয়ে ভিকটিম সালেহা বেগম এর গৃহে প্রবেশ করে ভিকটিম ও তার সন্তানদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথায়, গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ভিকটিম ও সন্তানদের মূমুর্ষ অবস্থায় চিটাগাংরোড শুভেচ্ছা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম সালেহা বেগমকে মৃত ঘোষনা করেন এবং তার সন্তানদের অবস্থা আশঙ্খা জনক দেখে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ফিরোজ উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।