গত সোমবার ৯ জানুয়ারি রাতে তাকে ফতুল্লার পূর্ব শিয়াচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সোমবার দুপুরে শ্লীলতাহানির শিকার ঐ নারী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত সুমন ফতুল্লা মডেল থানার পূর্ব শিয়াচরের মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার পুত্র।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শ্লীলতাহানির শিকার ঐ নারীর ১০ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সে পুত্র সন্তানকে নিয়ে চাষাঢ়া চাদমারী এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে প্রাইভেট টিউটর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। চার বছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গ্রেফতারকৃতের সাথে বাদীর পরিচয় হয়। সে সুবাদে তাদের মধ্যে প্রায় সময় মোবাইল ফোনে এবং ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো। তিন বছর পূর্বে গ্রেফতারকৃত সুমন বাদীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এতে সে অপারগতা প্রদান করে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে বাদীর বাসায় গিয়ে গ্রেফতারকৃত সুমন বিয়ের জন্য বাদীকে চাপ প্রয়োগ করে। সে তখন অস্বীকার করায় শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ডাক চিৎকার করলে আশাপাশের ভাড়াটিয়ারা এগিয়ে আসলে সুমন কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আরিফ পাঠান জানান, তদন্ত স্বাপেক্ষে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিষয়টি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শিয়াচর এলাকা থেকে অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।