নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল যেন মাদক সেবনের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পরিত্যাক্ত জায়গায় অবৈধ মাদক ফেন্সিডিলের খালি বোতলে সয়লাভ হয়ে গেছে। অথচ এমন একটি স্বাস্থ্য সচেতন জায়গায় মাদকাসক্তরা নিরাপদ জোন হিসেবে ব্যবহার করছে এবং মাদক সেবনের আখড়ায় পরিণত করেছে হাসপাতালের ১৮নং ওয়ার্ডের প্রসূতি ও গাইনী বিভাগের পরিত্যক্ত স্থানটি। মাদক সেবন করে প্রচুর পরিমাণে ফেন্সিডিলের বোতলে ছড়াছড়ি দেখা মিলে। অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের গুটিকয়েক নিন্ম শ্রেণির কর্মচারী ও বহিরাগত মাদক বিক্রেতা ও সেবীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হাসপাতালের অভ্যন্তরে পরিবেশ নষ্ট করছে কিন্তু দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের গাইনী বিভাগের পরিত্যাক্ত জায়গায় যেখানে হাসপাতালের অকেজো বেড ও আসবাবপত্র ফেলে রেখেছে, সেখানে শত শত ফেন্সিডিলের খালি বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের মাদক ব্যবসাকে হাসপাতালের অভ্যন্তরে নিরাপদ আবাসন হিসাবে চিহ্নিত করে সেখানে মাদক সেবীদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলে ক্রেতার কাছে ফেন্সিডিলের বোতল সরবরাহ করছে এবং ক্রেতারা সেখানে ফেন্সিডিল সেবন করে হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে রেখে যায়। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং কর্তব্যরত নার্স ও ওয়ার্ড বয় কেউ এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না বলে জানা যায়। তবে একটি সূত্র জানায় আশপাশ এলাকার কিছু চিহ্নিত এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বহিরাগতরা নিরাপদ জায়গা হিসেবে হাসপাতালটিকে বেছে নিয়েছে এবং এখানে মাদক কেনা এবং বেচাকেনা হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, হাসপাতালের সামনে বেশ কিছু খাবারের দোকান হওয়াতে বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু সহ অপরাধীরা এসে নিয়মিত আড্ডা দেয় এবং মাদক সেবন করে হাসপাতালের ভিতরে ফেন্সিডিলের বোতল সহ অন্যান্য মাদকের জিনিসপত্র ফেলে যায়।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও অভিযান না থাকায় মাদক বিক্রেতা ও সেবীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হবে এবং স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হবে।