নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : সারাদেশে একযোগে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট ও মাফিয়া সরকারের মন্ত্রী-এমপি, আমলা ও সাঙ্গপাঙ্গরা কিভাবে দেশ ছেড়ে পালালো আমাদের তা বোধগম্য নয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীরা এখনো অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে কঠোরভাবে আওয়ামী খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে এবং এসব জায়গা থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। বিদেশে পাচারকৃত টাকা দেশে ফেরত আনার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কালো টাকার মালিক মজুদদার ও মুনাফাখোরদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে হতাহতদের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করে হবে।
বুধবার ৯ অক্টোবর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত দেশব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
নগর প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক বিলাল খানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি সাইফুল ইসলাম, সদস্য শরীফ হোসেন, শ্রমিক আন্দোলন নগর সভাপতি মাও. হাবীবুল্লাহ হাবীব, ছাত্র আন্দোলন নগর সভাপতি মুহা. ওমর ফারুক প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, গত ৭ অক্টোবর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সারাদেশে একযোগে সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি শুরু করেছে। সারাদেশে সাধারণ মানুষ, আইনজীবী, শ্রমজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ পীর সাহেব চরমোনাই’র আপোসহীন ও গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য ফরম পুরণ করে সদস্য হচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরে আজ উদ্বোধন হয়।
তিনি আরও বলেন, ৫৩ বছর পর ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে। ইসলামের সৌন্দর্যগুলো তুলে ধরে মানুষকে ইসলামের পথে নিয়ে আসতে হবে। চলমান মানবরচিত সংবিধানের কুফল এবং ইসরামী কল্যাণ রাষ্ট্রের সুফল তুলে ধরে মানুষকে ইসলামের পতাকাতলে নিয়ে আসার জন্য একযোগ সকল নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত না থাকলে দেশ, মানুষ ও ইসলামের যে কী দূরাবস্থা তা বিগত সময়ে দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। এখন ইসলাম প্রতিষ্ঠার কল্যাণকর দিকগুলো তুলে ধরে মানুষকে বুঝাতে হবে।