নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন নতুন জিমখানা এলাকায় চিহ্নিত মাদক সম্রাট আলম চাঁন ও ইয়াবা লিমন বাহিনীর মাদক ব্যবসা রমরমা ভাবে চলছে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের নানাবিদ প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডস্থ নতুন জিমখানা এলাকায় সম্প্রতি বস্তি উচ্ছেদ করে শেখ রাসেল নগর পার্ক নির্মাণ কাজ চলছে। সেই শেখ রাসেল পার্ক এর লেকপাড় এলাকায় অর্থাৎ নতুন জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর পশ্চিম পাশে জল্লারপাড় সংলগ্ন অংশে এই সিন্ডিকেটের রমরমা ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে অনেকটাই বুক ফুলিয়ে। প্রতিদিন এই আলম চাঁন ও লিমন সিন্ডিকেটের লক্ষ টাকার মাদক বিক্রয় হচ্ছে অনেকটাই প্রশাসনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে। এর অন্যতম কারন অনুসন্ধানে দেখা যায় এই মাদক ব্যবসায় আরো সংপৃক্ত রয়েছে আলম চাঁন এর ভাই এক সময়ের পুলিশ সোর্স লাল চাঁন (২৭) এর প্রভাব। তাছাড়া আলম চাঁন এর আরেক ভাই শাহ আলম (৩০) ও বোন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আলীজান এর স্ত্রী আলো বেগম ও এই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। এই সিন্ডিকেটের ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রয়ে আরো সহযোগীতা করে র্যালীবাগান এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আকাশ (২৬) ও রবিন (৩৫)।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে আরো জানায়ায়, মাদক সম্রাট আলম চাঁন (৩২) নতুন জিমখানা এলাকায় ৩টি স্পটে একাধিক বিক্রেতা ধারা এই ব্যবসা দীর্ঘদিন যাবৎ পরিচালনা করে আসছে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। নতুন জিমখানা এলাকার হাসির বাড়ী, সোলমান মিয়ার বাড়ী, লেকপাড় এবং অটোরিক্সা ষ্টান্ড সহ আশপাশে আলমচাঁন এর অনুসারিরা মাদক সুকৌশলে বিক্রয় করছে। এই এলাকার সাধারণ মানুষের ধারণা প্রশাসনের কিছু অসাধু অফিসার ও পুলিশ সোর্সদের মাসহারা দিয়ে চলছে এই রমরমা ব্যবসা। তাছাড়া আলম চাঁন এর সাথে এই ব্যবসায়ে আরো সহযোগীতা করছে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী লিমন (২৮)। এই সিন্ডিকেট নতুন জিমখানার কিছু নামধারী লোকদের সেল্টারে দিনের আলোতে চালাচ্ছে মাদকের এই রমরমা ব্যবসা।
ভূক্তভোগী নতুন জিমখানাবাসি মাদক নির্মূলে এই চিহ্নিতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছে ।