নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এস,এম,কামাল হোসেনের পরিকল্পনায় ও সম্পাদনায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ভাষা শহীদ ও বীর শ্রেষ্ঠগনের ছবি সম্বলিত শহীদ স্বরনী, আল-কোরআন ও হাদিসের বাণী এবং বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দেয়ালিকা।
এ বিষয়ে এস,এম,কামাল হোসেন বলেন পথিক যারা এইদিক দিয়ে আসা, যাওয়া করবে তারা দেখে যদি একবার পড়েও যদি কিছুটা জানতে পারে যে আমাদের আসল ইতিহাসটা কি সেটা স্থায়ী ভাবে জানানোর জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। এটা পড়ে যদি কিছু লোক উপকৃত হয় সেটাই আমাদের সাফল্য।
এই বিষয়টা এখন আর কাওকে বই ধরে পড়ানোর দরকার নেই, এখানে কয়েক মিনিট দাড়িয়ে যদি এক বার কেহু পড়ে যায় তা হলে বুঝতে পারবে আমাদের ইতিহাসটা কি, আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটা কি, এটা কেন এতো গুরুত্বর্পূণ, এটার তাৎপর্যটা কি, ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্যটা কি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার তাৎপর্যটা কি, এটা কিন্তুু এখানে লেখা আছে।
পৃথিবীর কোন দেশে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ ঝরেনি। একমাত্র বাংলাদেশেই মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিতে হয়েছে। এ বিষয়টা যে বুঝতে পারবে, সে কখনও আমাদের জাতির সাথে বেইমানি করবেনা। সে কখনও অমানুষ হবেনা। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমাদের নিজের মায়ের ভাষা যে নিজে লালন করতে না পারে, সে কিসের মানুষ, সে কিসের নাগরিক? যারা এই ভাষা প্রতিষ্ঠা করে গেছে, তাদের প্রতি আমাদের অকুন্ঠ শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। তাহলে আমরা নিজেদের প্রকৃত মানুষ মনে করতে পারবো। আমাদের এই দেয়ালিকাটা, এটা পড়ে আমাদের ছাত্র- ছাত্রীরা, আমাদের এলাকা বাসী, পথচারী যারা আছে তাদের জন্য এটা উন্মক্ত রইলো, সবাই জানতে পারবে, সবাই নিজেকে কিছুটাহলেও পরিবর্তন করতে পারেবে।
আর এই দেয়ালিকায় কতগুলো ইতিহাস আছে এটা আমরা অনেকে জানিনা, এই দেয়ালিকায় লেখা আছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ভাষা শহীদের কথা, আমাদের পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বাণী এগুলো যদি আমরা সঠিক ভাবে মুসলিম হিসাবে আন্তরিক ভাবে পড়ি এবং সেভাবে যদি পরিচালিত হতে পাড়ি তা হলে কিন্তুু আমরা সঠিক ভাবে মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারব।
এখানে আরো আছে বিখ্যাত মনীষীদের মূল্যবান উক্তি, সেগুলো আমরা যদি বুঝি দুই,তিনটাও যদি আমরা অনুস্বরন করি তাহলেও আমাদের মাঝে অনেক পরির্বতন আসবে। সুধু এটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, যাতে আমরা নিজেদের কে পরির্বতন করতে পারি, সুধু সমালচনা নয়, যার যার ক্ষেত্র থেকে কিছুটা হলেও সামান্যতম অবদান যদি আমরা রেখে যেতে পারি, তাহলে কিন্তুু আমাদের সমাজটা পরির্বতন হবে। আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল হবে। আমাদের বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্ম আরো ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।