নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় শিশু মরিয়ম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সেন্টুকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বেতাগীসানপুর ইউনিয়নের রামবল্লভ গ্রামে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম।
এর আগে, গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের রামবাল্লভ গ্রামে ভিটা থেকে ৮ বছরের মরিয়মের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে দশমিনা থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় মরিয়মের বাবা মো. মকবুল হোসেন মৃধা বাদী হয়ে দশমনিা থানায় অজ্ঞাতনামা ৫ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন। পরে দশমিনা থানা পুলিশ ও স্পেশাল পুলিশ পটুয়াখালী বিভিন্নভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম জানান, মরিয়কে হত্যার ঘটনায় চাচা সেন্টু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। মরিয়মের মা রিনা বেগমের সঙ্গে আত্মীয়দের দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও মামালা চলোমান। তাদের ফাঁসানোর জন্য অনেক দিন থেকে চাচা ও মা পরিকল্পনা করে আসছে। তাদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল মেজো মেয়েকে ধর্ষণ করাবে কিন্তুু ধর্ষণ মামলা দিলে বিয়ে দিতে পারবে না তাই ওই পরিকল্পনা বাদ দেয় তারা। পরে দ্বিতীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ছোট মেয়ে মরিয়মকে ৩ ফেব্রয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির উত্তর পাশের নির্জন ভিটায় নিয়ে মা রিনা ও সেন্টু লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ওই লাঠি মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জব্দ করা হয় ও মা রিনাকে আটক করা হয়। আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার, পটুয়াখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. জসিম উদ্দিন, দশমিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) অনুপ দাস, বেতাগিসানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টুসহ উপজেলা ও জেলা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।