নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন না হয়, সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ছিল। জনগণ যেন ভোট বর্জন করে সেই চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু জনগণ সব বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্রের হার কমেছে, মানুষের আয় বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, সাক্ষরতার হার বেড়েছে। সবদিক থেকে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সারাবিশ্ব যখন বলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, তখন আমাদের দেশে কিছু আছে দালাল শ্রেণি আর কিছু বাহিরের লোক, তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না। মনে হয় যেন, একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলেই তারা খুশি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে নির্বাচন যেন না হয়, সেজন্য একটি চক্রান্ত ছিল। হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ পুড়িয়ে মারা, অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা করা, পুলিশকে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করার দৃশ্য মানুষ দেখেছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে পুড়িয়ে মারা মানুষ দেখেছে। জনগণ যাতে নির্বাচনে ভোট না দেয়, সেজন্য লিফলেট বিলি করে তাদের ভোট থেকে বিরত রাখার চেষ্টাও তারা (বিএনপি) করেছে। আমরা কিন্তু বাধা দেইনি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। এই নির্বাচনকে তারা গ্রহণ করেছে। সেজন্য আমি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭মে যখন আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম, সেদিন আমার বাবা-মা-ভাই কাউকে পাইনি। সেদিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যে দেশের মানুষের জন্য আমার আমার বাবা-মা, ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছেন। এই স্বাধীনতা কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। এই বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার, তাদের মাঝেই আমি খুঁজে পেয়েছি আমার বাবা-মা-ভাইয়ের স্নেহ। আর সেইভাবেই আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছি যেন, প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি।
এর আগে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে উদ্যানের চারদিকে জড়ো হন ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা। দুপুর দেড়টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন প্রবেশ গেট দিয়ে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে শুরু করে। পরে শেখ হাসিনা সমাবেশ মঞ্চে উঠলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা পতাকা নেড়ে তাকে স্বাগত জানান। মঞ্চে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।