নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের
আওতায় আনতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১,আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউজ ব্যাংক ২৪ কে জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ রাতে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানাধীন মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রূপগঞ্জে চাঞ্চল্যকর “রাকিব” হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী ১। জাকির হোসেন (৪৫), পিতা- মৃত আছমত আলী এবং ২। মোঃ ইলিয়াস হোসেন (২৪), পিতা- মোঃ আলমগীর হোসেন, উভয় সাং- গোলাকান্দাইল, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’দ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ভিকটিম রাকিব হোসেন রূপগঞ্জ থানাধীন গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া এলাকায় তার বোন আখি আক্তারের নির্মানাধীন ভবন দেখাশুনা করতো। স্থানীয় কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজগ্রুপ জাকির গ্রুপের লিডার জাকির হোসেন ও ইলিয়াস হোসেনসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা ভিকটিম রাকিবের নিকট হতে তার তত্ত্বাবধানে উক্ত নির্মানাধীন ভবনের জন্য চাঁদা দাবী করে। ভিকটিম রাকিব চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে জাকিরগ্রুপ রাকিবের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২১/০৯/২০২২ খ্রিঃ রাত অনুমান ৮ টা ৩০ মিনিট ঘটিকার সময় ভিকটিম রাকিব গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া হান্নানের চায়ের দোকানে অবস্থান করাকালে গ্রেফতারকৃত আসামী জাকির ও ইলিয়াসসহ জাকিরগ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা মিলে অতর্কিতভাবে ভিকটিম রাকিবের উপর হামলা করে। আসামীদের নিকটে থাকা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা নৃশংসভাবে ভিকটিম রাকিবকে উক্ত ঘটনাস্থলে কুপিয়ে হত্যা করে। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি
বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বোন আখি আক্তার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৫৯, তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২। উক্ত হত্যাকান্ডের পর হতে এজাহারনামীয় আসামীরা কৌশলে আত্মগোপন করে।এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার
জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং জাকির ও ইলিয়াসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সিআইডি, নারায়ণগঞ্জ-এর তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।