7 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ ০৯-১২-২০২২
Home / দূর্ঘটনা / চট্টগ্রামে ট্রেন ও পুলিশ ভ্যান সংঘর্ষে ছয়জন হতাহতের ঘটনায় পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন

চট্টগ্রামে ট্রেন ও পুলিশ ভ্যান সংঘর্ষে ছয়জন হতাহতের ঘটনায় পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেন ও পুলিশ ভ্যান সংঘর্ষে ছয়জন হতাহতের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ছয়জন পুলিশ হতাহতের ঘটনায় রোববার রাতে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সামিউর রহমান বাদী হয়ে গেটম্যানের বিরুদ্ধে কর্তব্য অবহেলার অভিযোগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গেটম্যান শাহরিয়ার মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ আনা হয়।

এর আগে রোববার গেটম্যান শাহরিয়ার মাহমুদকে বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ও রোববার দুর্ঘটনার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা যায়, সে বিষয়ে সুপারিশ করার জন্য এ কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কর্তব্য অবহেলার অভিযোগে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সামিউর রহমান চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় গেটম্যানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কবির আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পুলিশ সুপার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এ ঘটনার পর থেকেই গেটম্যান পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, রোববার সীতাকুণ্ডে ট্রেন ও পুলিশ ভ্যান সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য নিহত ও দুই পুলিশ সদস্য এবং এক ইউপি সদস্য আহত হন। নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার উজানী গ্রামের ইমান আলী মুন্সির ছেলে কনস্টেবল মিজানুর রহমান (৩৮), কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার মৌলভীবাজার গ্রামের মো. ফরিদ আহম্মদের ছেলে কনস্টেবল মো. হোসেন (৩৬) ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার ভাড়াশিয়া গ্রামের মসরুম মোল্লার ছেলে কনস্টেবল এসকান্দর আলী মোল্লা (৩৭)। এছাড়া গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন কক্সবাজার সদর থানার শর্মা গাড়া গ্রামের অনন্ত শর্মার ছেলে এসআই সুজন শর্মা (৪০), পুলিশ ভ্যানের চালক নোয়াখালী সুধারামপুর থানার পশ্চিম মাইজদী গ্রামের মুত গ্রীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে সমর চন্দ্র সরকার (৩৮) ও সলিমপুর ইউপি সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন (৩৯)।

রোববার রাতে নিহত তিন পুলিশ সদস্যের জানাজা চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আহত পুলিশের এসআই সুজন শর্মার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। রোববার থেকে তিনি অজ্ঞান। সোমবার সকালে একবার জ্ঞান ফিরলেও আবার অজ্ঞান হয়ে যান। তার পালস নিচে নেমে যায় বলে জানান সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ।

আরও পড়ুন...

না’গঞ্জে বিসিকে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ড

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পঞ্চবটী এলাকায় বিসিকের গ্যাস লাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। …