নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচয়ে বিভিন্ন পদে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং এনএসআই যৌথ অভিযান চালিয়ে টঙ্গী থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় প্রশিক্ষণ মডিউল, বই, প্রশিক্ষণ এয়ার পিস্তল, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনফারেন্স রুমে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ নাজির আহমদ খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার রনচন্ডি উত্তরপাড়া এলাকার লিয়ন ইসলাম (২৫), একই জেলা ও থানার রনচন্ডি দালালপাড়া এলাকার মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে পায়েল (২৩), লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থানারদই খাওয়া এলাকার হুমায়ন কবির প্রিন্স (৩৬), পায়েলের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (২২), লিয়ন ইসলামের স্ত্রী রিপা আক্তার (২১) এবং নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার দক্ষিণ সোনাপুরী এলাকার রিখা মনি।
- ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে যুবক ছেলে-মেয়েদের চাকরির প্রলোভন
- ভুয়া নিয়োগপত্র ও আইডিকার্ড প্রদান করে বিভিন্ন জেলা, থানায় পদায়ন এবং বদলি
- প্রশিক্ষনকালীন নিজেদের তৈরি বিধি মোতাবেক পদোন্নতি ও শাস্তি প্রদান
উপ-কমিশনার মোহাম্মদ নাজির আহমদ খান জানান, এনএসআইর তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার (১২ মে) মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং এনএসআই যৌথ অভিযান চালিয়ে টঙ্গীর ভাদাম পশ্চিমপাড়া একটি ৫ তলা ভবনের ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার এবং ভিকটিম আফরোজ আশিক সিনথি (১৯) এবং কানিজ ফাতেমাকে (১৮) ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে উপ-কমিশনার মোহাম্মদ নাজির আহমদ খান বলেন, তারা এনএসআই পরিচয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে দেশের যুবক ছেলে-মেয়েদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনাস্থলে এনে এনএসআই হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। পরবর্তীতে নিয়োগপত্র ও ভুয়া আইডিকার্ড প্রদান করে বিভিন্ন জেলা থানায় পদায়ন এবং বদলি দিয়ে থাকে। পরে তাদেরকে প্রশিক্ষনকালীন নিজেদের তৈরি বিধি মোতাবেক পদোন্নতি ও শাস্তি দেয়।
ভিকটিমদের বরাত দিয়ে উপ-কমিশনার মোহাম্মদ নাজির আহমদ খান আরো জানান, প্রতারক চক্রের সদস্যরা ভিকটিমদের এনএসআইতে চাকরি দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে ৫ থেকে ৬ মাস যাবত প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। চক্রটি তাদের জেলায় পদোন্নতি প্রদান করে পোষ্টিং এর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান তিনি।