নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, গণবিচ্ছিন্ন ফ্যাসিবাদী সরকারের পাতানো নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। সরকার নির্বাচনের নামে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তামাশার নির্বাচনে ভোট দিতে ভাতাভোগীদের জিম্মি করার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার একটি জোর-জবরদস্তি ও তামাশার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। নির্বাচনের নামে তামাশা বন্ধ করতে হবে।
শুক্রবার ২৯ ডিসেম্বর বাদ জুমআ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে একতরফা ভোট বর্জনের আহবান জানিয়ে ডিআইটি চত্বর থেকে ২নং রেল গেইট, প্রেস ক্লাব ও চাষাড়া এলাকায় গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী।
উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা ও নগর সেক্রেটারি যথাক্রমে জাহাঙ্গীর কবির ও সুলতান মাহমুদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ওমর ফারুক, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি যোবায়ের হোসেন, নগর সভাপতি হাফেজ রবিউল ইসলাম সহ থানা ও ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি মাও. দ্বীন ইসলাম বলেন, সরকার দলীয় নেতারা মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছে। ভোট না দিলে গ্যাস-বিদ্যুৎ থাকবে না বলেও হুমকি দিচ্ছে। এসব হুমকি-ধমকি সরকারের প্রতি মানুষের দৈন্যতা প্রকাশ পাচ্ছে। তারা বলেন, নির্বাচনে সরকার কে হবে, তা কেউ জানতে চায় না। সবার প্রশ্ন, বিরোধী দল কে হবে। সরকারের এই তামাশায় মানুষ অংশ নেবে না। এই সরকারকে সহযোগিতা করার কোনো দায় বাংলাদেশের মানুষের নেই। সব বিরোধী মতকে উপেক্ষা করে সরকার তাদের ভাগ-বাঁটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। সরকারের নির্বাচন নামের খেলায় ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভিজিএফ কার্ড, বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতার কার্ডসহ নানা কার্ড জমা নিয়ে ভাতাভোগীদের জিম্মি করা হচ্ছে।
মানসুর আহমাদ সাকী বলেন, বিরোধী দল ও মতের কোন তোয়াক্কা না করে সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। এজন্য মানবতাবাদী নেতা পীল সাহেব চরমোনাই জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্ভাচনের দাবি জানিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তিনি সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করেছেন। এতে সহিংসতা বন্ধ হয়ে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা হবে।