নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়াও যেকোন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত করে আসছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর উপ-পরিচালক, কোম্পানী কমান্ডার, স্কোয়াড্রন লীডার এ.কে.এম মুনিরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউজ ব্যাংক ২৪ কে জানান, গত ১৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার দেওভোগ এলাকায় একটি ১৩ বছরের কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে যার মামলা নম্বর-৫৯, তারিখ ১৮/০৪/২০২২ ; নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ধারা ৭,৯(৩),৩০। উক্ত ঘটনা বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রচারিত হয় যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
উক্ত গণধর্ষণের ঘটনায় পলাতক আসামীদের সনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ২৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখ ১টা ৩০ মিনিট র্যাব-১১, সিপিসি-১ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী মিনু রাসেল (৪০), পিতাঃ মোঃ আশরাফ আলী, পশ্চিম দেওভোগ, থানা
ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ কে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ভিকটিম তার মায়ের সাথে দেওভোগ এলাকায় বসবাস করত। গত ১৩ এপ্রিল ২০২২ তারিখ ভিকটিম তার নিজ বাসা থেকে পাশ্ববর্তী
দেওভোগ আদর্শনগর এলাকায় নানীর বাসায় বেড়াতে যায়। অতপর ১৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সেহেরীর সময় নানীর সাথে নিজ বাসায় ফেরার পথে রাত আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিট সময় ঘটিকায় গ্রেফতারকৃত মিনু রাসেল এর পরামর্শে অত্র মামলার অপর ২জন আসামী মোঃ রিফাত (২০) ও সিফাত (২২) ভিকটিম (১৩) কে জোরপূর্বক অপহরণ করে মিনু রাসেল এর বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় ভিকটিমের নানী বাধা দিলে তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে যায়। অতপর গ্রেফতারকৃত রাসেল এবং অপর ২জন আসামী মিলে ভিকটিমকে ৪ দিন আটকে রেখে
পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
গত ১৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখ ফতুল্লা থানা অত্র ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ রিফাত (২০) কে গ্রেফতার করে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভিকটিমকে মিনু রাসেল এর বাসা থেকে উদ্ধার করে। এ সময়ে রাসেল ও অপর আসামী সিফাত কৌশলে পালিয়ে যায়। অতপর ২৫
এপ্রিল ২০২২ তারিখে গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানা এলাকা হতে অত্র গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী মিনু রাসেল (৪০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত রাসেল এর বিরুদ্ধে মাদক ও হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে এবং সে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার হত্যা মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী।অত্র মামলার অপর পলাতক আসামী সিফাত (২২) কে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারৃকত আসামী মিনু রাসেল এর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।