নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপির অবরোধ চলাকালে পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ছয়সূতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন বড় ছয়সূতি ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা শেফায়েত উল্লাহ (২২) ও একই ইউনিয়নের কৃষকদল সভাপতি বিল্লাল মিয়া (২৭)।
এ বিষয়ে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রুখন উদ্দিন বলেন, কুলিয়ারচরে সংঘর্ষে শেফায়েত উল্লাহ নামে একজনের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। তিনি বড় ছয়সূতি গ্রামের কাওসার মিয়ার ছেলে।
তবে এ বিষয়ে জানতে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তুফাকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছয়সূতি বাজার এলাকায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিলসহ জড়ো হয়। তাদের বাধা দিলে মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর ইট ও পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে ঘটনাস্থলেই বিল্লাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। সকাল এগারটার দিকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেফায়েত উল্লাহ তনয় নামে আরো একজন মারা যায়। এ সময় কড়া পাহাড়ায় সিএনজি অটোরিকশাতে উঠিয়ে নিহত বিল্লাল হোসেনের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার শেখ রাসেল জানান, সংঘর্ষ ও আহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো বিস্তারিত কনফার্ম করতে পারছি না। হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে কে বা কারা আহত হয়েছে, কীভাবে আহত হয়েছে তা অনুসন্ধান করে তারপর কথা বলব।