নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ঋণনির্ভর ধনী তোষণের বাজেট প্রত্যাখ্যান করে এবং বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো ও শ্রমজীবী মানুষের রেশন, আবাসন, চিকিৎসার জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার ১৪ জুন বিকাল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নিখিল দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাসদের জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, ফতুল্লা থানার আহ্বায়ক এম এ মিল্টন, সদস্যসচিব এস এম কাদির।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক, ঋণনির্ভর ও ধনী তোষণের। ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বিশাল বাজেটের ঘাটতি হলো ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এই ঋণ করে ঘি খাওয়ার বাজেটে এবার ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা সুদ পরিশোধ খাতে বরাদ্দ রাখতে হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় তিনি গরিব ছিলেন বলে গরিবের দুঃখ বুঝেন বলেছেন। অথচ গরিবের উপর করের বোঝা চাপিয়েছেন। একদিকে পরোক্ষ কর ৬৭.৩ % ধরেছেন যা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় হবে।আরেকদিকে ধনীদের কর্পোরেট কর ২.৫% কমিয়ে দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে
বরাদ্দ ছিল জিডিপির ২.২২%। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে ১.৯২%। যুবকদের কর্মসংস্থানের কোন দিক নির্দেশনা এ বাজেটে নেই। করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষাখাত ও শিক্ষার্থীর জন্যে এবাজেটে কোন নির্দেশনা নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিখাত বাজেটে গুরুত্ব পায়নি। পাচারকৃত টাকা ফেরত আনা, কালো টাকা ও ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারে কঠোর ভূমিকা না রেখে বাজেটে তাদের সামান্য কর দেয়ার মাধ্যমে টাকা বৈধ করে দেয়ার সুযোগ শুধু অনৈতিক নয়, এই ধারা টাকা
পাচারকারী ও লুটপাটকারীদের উৎসাহিত করবে। বাজেটে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে খাদ্য মূল্য মজুত, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু, শ্রমজীবীদের জন্য রেশন, আবাসন, ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাজেটে সামরিক খাতসহ অনুৎপাদনশীল খাতগুলোতে বরাদ্দ বেশি করা হয়েছে আর উৎপাদনশীল খাত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিতে বরাদ্দ আনুপাতিকভাবে কমিয়ে দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের
করযোগ্য আয়সীমা বাড়েনি অথচ নিত্যপণ্য নিয়ন্ত্রণেও কোন দিক নির্দেশনা বাজেটে নেই। ফলে এই বাজেট ধনীক শ্রেণির স্বার্থে ও গরিব মারার বাজেট। নেতৃবৃন্দ এই গণবিরোধী বাজেট প্রত্যাখ্যান করার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। সাথে সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্ধ বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।