নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : জাতীয় শিক্ষক ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান বলেছেন, দেশবিরোধী সকল আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। দেশ স্বাধীন হয়েছে দিল্লির গোলামির জন্য নয়; মাথা উঁচু করে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের হাতেই আজ স্বাধীনতা ও দেশ বিপন্ন। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে নওগাঁ সীমান্ত এলাকায় ভারতের বিএসএফ আল আমীন নামের এক যুবককে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে ভারত। প্রতিনিয়ত সীমান্তে ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশীদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করেই যাচ্ছে, কিন্তু ভারতের পদলেহি সরকার প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না। বরং সরকারের শীর্ষ নেতারা ভারত বন্দনায় ব্যস্ত। তিনি ঐতিহাসিক বদরের চেতনাকে ধারণ করে ইসলাম ও দেশবিরোধী সকল শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান। দেশীয় নব্য ভারতীয় রাজাকারদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
গত শুক্রবার ২৯ মার্চ চাঁদের পাহাড় রেস্টুরেন্ট এ জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি গাজী আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে নৈতিক অবক্ষয় রোধে পবিত্র মাহে রমজানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক ডা. আব্দুস সবুর, বিশেষ অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
প্রধান বক্তা বলেন, কুরআনের তিলাওয়াত করলে মানুষের হৃদয়ে যে প্রশান্তি আসে, অন্যকিছুতে তা মিলে না। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কুরআন তিলাওয়াত নিয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষ যে আচরণ করেছে, বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে তা আমাদের মাথা নিচু করে দেয়। সরকারকে এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে হবে।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারীভাবে, সামরিক, বেসামরিক সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হতো। সেখানে সরকারের উর্ধ্বতন ব্যক্তিসহ সামরিকবাহিনীর লোক উপস্থিত থাকতেন, সুশীল সমাজের মানুষ উপস্থিত থাকতেন। এবার এমন কি হলো যে, সরকারের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল না করার জন্য উৎসাহিত করা হয়। কেউ ইফতার মাহফিল করলে সেখানে হামলা করা হয়। আসলে এ সরকার মুসলমানদের সরকার না। মুসলমানদের সরকার হলে ইফতার মাহফিল বন্ধ করতে পারে না। আমরা চুপ থাকলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবেনা, দেশ থাকবে না, ঈমান থাকবে না।
সভাপতির বক্তব্যে গাজী আলতাফ হোসেন বলেন, ইসলামের প্রথম যুদ্ধ ছিল বদর যুদ্ধ। এ যুদ্ধের মাধ্যমে সত্য মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্ট হয়েছিল। এই যুদ্ধে মুসলমানরা সত্যের পক্ষে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে একনিষ্ঠভাবে যুদ্ধ করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বিজয়ও দান করেছিলেন। প্রতিবছর এই দিবস আমাদেরকে সত্যের পক্ষে দেশের পক্ষে মানবতার পক্ষে বলিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য নতুনভাবে চেতনা সৃষ্টি করে। সেই চেতনাকে ধারণ করে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে বিদ্যমান সকল জুলুম, অত্যাচার ও অন্যায়ের মূলৎপাটন করতে হবে।