নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আসন্ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সরব হয়ে
উঠেছে রাজনৈতিক ময়দান। সম্প্রতি কাউন্সিলর তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতারা প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনসহ নানামুখী প্রতিবাদ জানালেও ২৯ জানুয়ারী রোববার দুপুরে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের নীতি-নির্ধারকদের নেতৃত্বে এক রুদ্ধদ্ধার বৈঠকে ত্যাগীদেরকে তাদের কাউন্সিলর পদ ফিরিয়ে দেয়ায় গত কয়েক দিনের বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতির অবসান ঘটে। তবে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে আটকে থাকা কাউন্সিলর পদ প্রকৃত আওয়ামীলীগাররা ফিরে পাওয়ায় বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তথা কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাজী আক্তার হোসেন (বিএ)’র শিবিরে অনেকটা উচ্ছাস বিরাজ করছে।
কেননা যে ১২ জন কাউন্সিলর নতুন করে পদ ফিরে পেয়েছে তাদের সকলেই আক্তার হোসেনের লবির। এ কারণে সাধারণ সম্পাদক পদে আক্তার হোসেনের জয়লাভের পথ অনেকটা সুগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে আক্তার হোসেন ১৯৮৭ সালে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকের পদ দিয়েই তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৯২ সালে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, পরবর্তীতে একই ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালণ করেন। ২০০২ সাল পর্যন্ত যুবলীগের নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে তিনি দলের আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলেন। তার সুচারু নেতৃত্বের ফলে বিংশ
শতাব্দীর শুরুতে তিনি দায়িত্ব পান কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদকের। এই পদে থেকে তিনি সকলের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্প্রতি বজায় রেখে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করেন। শুধু তাই নায় কর্মদক্ষতার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গঠিত বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগেও তাকে সহ-সভাপতি হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু নিজের ইউনিয়নের কর্মীরা নানাভাবে নীপীড়িত, নির্যাতিত এবং সুবিধা বঞ্চিত হওয়ায় তাদের পাশে দাড়ানোর প্রত্যয় করেন। সেই মনোবৃত্তি রেখেই কর্মীদের অনুরোধে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক
প্রার্থী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন। অন্যদিকে আন্দোলনের নেপথ্য কারিগর আক্তার হোসেন লবির ১২ জন কাউন্সিলর তাদের পদ ফিরে পাওয়ায় কেবল তার নিজেরই পথ সুগম হয়নি পাশাপাশি সভাপতি প্রার্থী হাজী আহাম্মেদ তুষার মাইনুদ্দিনও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। বলা যায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাদের দু’জনেরই চমক দেখানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ ইউনিয়নের জনৈক যুবলীগ নেতা জানান,আমরা আমির-কাশেম যুগের অবসান চাই। এক নেতারাই সারাজীবন এক পদেই বহাল থাকবেন তা কি করে হয়। আমির হোসেন-ইব্রাহিম কাশেম সভাপতি-সম্পাদকের পদ কুক্ষিগত আমরা এদের থেকে
পরিত্রাণ চাই। তৃনমূলের মতে, একগুয়েমি-একতরফা রাজনীতি থেকে আমাদেরকে সরে আসতে হবে। কলাগাছিয়ার রাজনীতিতে আমির-কাশেম গ্রুপ ২২ বছরে কোন অবদানই চোখে পড়েনা।