নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : আমার মনে হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তারা দেশ ছেড়ে পালাবে। বর্তমান সরকারের পতন সুনিশ্চিত। কারন যে সরকার দেশের মানুষের খাবার দিতে পারে না, ইজ্জত রক্ষা করতে ব্যর্থ, মুসলমানদের সাথে তামাশা করে আর যাই হউক তারা ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখেনা। মনে রাখবেন, এক সাগর তাজা রক্তের বিনিময়ে গড়া বাংলাদেশ। এই দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রয়োজনে আবারো একটি যুদ্ধ হবে। কিন্তু সরকারের আর কোন অবৈধ কর্মকান্ড মেনে নিব না।
দেশব্যাপী বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানী খাতের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নারায়ণগঞ্জ মহানগর কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় কমিটির সহ সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু এ মন্তব্য করেন।
শনিবার ৩০ জুলাই নারায়ণগঞ্জ চাষাড়াস্হ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ২০১৪ সালে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি হয়েছে। এখন তাদের দিকে তাকিয়ে হাসলেই তারা বুঝে যায় জনগণ সব জেনে গেছে। এছাড়াও ২০১৮ সালে প্রশাসনকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে রাতের আধারে ভোটচুরি করে ক্ষমতায় এসেছে
আওয়ামীলীগ সরকারের দুই কান কাটা তাই তাদের লজ্জা শরম নাই। এখন কথা কথায় মিথ্যা বলে।
প্রধান বক্তা হিসেবে এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশে গুম, খুন, মামলা, হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি। মানুষের ভোটাধিকার হরন করে নিয়েছে। দেশে এখন লুটের রাজনীতি চলছে। তাই তো দেশে বর্তমান বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার কারনে জনগণ এর ভোগান্তিতে পরেছে। অচিরেই দেশের মাটিতে এই অন্যায়ের বিচার হবে।
মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি এডভোকেট জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহম্মেদ টিটু, বিএনপির জাতীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, হাজী নুরউদ্দিন আহমেদ, হাজী ফারুক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আনিছুর রহমান মোল্লা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মতিন, যুব বিষয়ক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন শোখন, হান্নান সরকার, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক এ্যাড. আনোয়ার প্রধান, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস.এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, মহানগর বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক প্রমুখ।