নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড ও ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১,আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউজ ব্যাংক ২৪ কে জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল গত ২৫শে ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন পশ্চিমধরি বিষনন্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১৬ বছরের কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী মোঃ মাছুম (২৩), পিতা- জালাল উদ্দিন, সাং- উচিৎপুরা, থানা-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ মাছুমের আড়াইহাজার থানাধীন উচিৎপুর বাজারে মোবাইল রিচার্জের দোকান হতে গত ০১ বছর পূর্বে ভিকটিম(১৬) মোবাইল রিচার্জ করে। এরপর হতেই আসামী মোঃ মাছুম ভিকটিমকে মোবাইল ফোনে এবং ভিকটিম জীবিকার তাগিদে আড়াইহাজার থানাধীন উজান গোপিন্দি সাকিনস্থ ছাবেদ আলী স্পিনিং মিলে আসা যাওয়ার পথে প্রথমে উত্যক্ত ও একপর্যায়ে প্রেম নিবেদন করে। ভিকটিম তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। প্রেম নিবেদনে প্রত্যাখাত হয়ে আসামী মোঃ মাছুম (২৩) প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে গত ০৫/১০/২০২২ খ্রিষ্টাব্দে আড়াইহাজার থানাধীন তিলচন্দ্রী আঃ রব মিয়ার পরিত্যক্ত বসতঘরে ভিকটিমকে জোরপূর্বক নিয়ে এসে
ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১৩ তারিখ ১২ অক্টোবর ২০২২। উক্ত ধর্ষণের পর হতে এজাহারনামীয় আসামী মোঃ মাছুম (২৩) কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই
প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত একমাত্র আসামী মোঃ মাছুম (২৩)’কে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আড়াইহাজার থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফলে ভিকটিম ধর্ষণের ঘটনাটি মান সম্মানের ভয়ে প্রকাশ করে না। এভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভয়ভীতি প্রদানের মাধ্যমে প্রায়ই ভিকটিমকে ধর্ষণ করে আসছিল। পরবর্তীতে ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিয়ের কথা বললে, আসামী মোঃ মাছুম
ভিকটিমকে বিয়ে করবে না বলে জানায়।