নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে গত ১৯ মে শুক্রবার বিকাল ৪ টায়
নারায়ণগঞ্জ আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নারী চেতনা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য কবি বিলকিস ঝর্না। সঞ্চালনায় ছিলেন কবি মাকসুদা ইয়াসমিন।
আলোচনা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড লক্ষী চক্রবর্তী, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ. ম. কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিমল কান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সমমনা’র সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ, নাট্যশিল্পী দীপঙ্কর দে, নারী নেত্রী শাহানারা বেগম, কবি পল্লবী প্রত্যাশা, কবি রাজলক্ষ্মী, কবি নাসিম আফজাল, কবি শবনম শিউলি ও কবি শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল। কাজী নজরুল ইসলামের নারী কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তি শিল্পী ডলি বনিক।
সেমিনারে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জের কবি, লেখক, শিল্পী ও সাহিত্যপ্রেমী অনেকেই এসেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমির সভাপতি মাইনুদ্দিন মানিক, সমমনার সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ সাহা, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী নারায়ণগঞ্জ শহরের নেত্রী ফাল্গুনী দাস রাখী, সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের অমল আকাশ, দীনা তাজরীন, কবি রইস মুকুল, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি শিমুল দাস ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর লাল, কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলার নেত্রী কৃষ্ণা ঘোষ ও শোভা সাহাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রথমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি বিলকিস ঝর্না। এর পর প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় বক্তারা বলেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলন এক ধরনের সমাজ বদলের হাতিয়ার। যারা সংস্কৃতির নানা মাধ্যমে কাজ করেন তাদের এই বাস্তবতার বাইরে
থাকার কোন উপায় নেই। লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক তথা সাংস্কৃতিক জগতের মানুষদের যাবতীয় সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং সামগ্রিক অগ্রগতির পক্ষে থাকা তাদের একটা নৈতিক দায়। প্রতিটি সমাজেই সুস্থ্য অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে এক চলমান সাংস্কৃতিক আন্দোলন প্রয়োজন হয় এবং সংস্কৃতি এই আন্দোলনের সাথে থাকে আর সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিগণই এই সাংস্কৃতিক
আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকেন।
১৯১৭ সালের রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব আমাদের দেখিয়ে দেয় যে নারীরাও মানুষ। সে সময় অক্টোবর বিপ্লবের পর সমস্ত রাশিয়ায় কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়। তখন সেখানে (পৃথিবীতে প্রথম) ২০ বছরের অধিক বয়সের নারীর ভোটের অধিকার
নিশ্চিত করা হয়। এর আগে পর্যন্ত পুঁজিবাদী দুনিয়ার কোথাও নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। অতঃপর আমেরিকায় ১৯২০ সালে, ইংল্যান্ডে ১৯২৮ সালে, ইতালিতে ১৯৪৫ সালে, জাপানের ১৯৪৫ সালে, কানাডায় ১৯৪৮ সালে এবং সুইজারল্যান্ডে ১৯৭১ সালে নারীর
ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ ৮ই মার্চ নারী দিবসের পটভূমি প্রসঙ্গে আমাদের প্রথমেই বলতে হয় যে স্থপতিদের একজন অন্যতম হচ্ছেন জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নারী নেত্রী কমরেড ক্লারা জেটকিন। তার প্রচেষ্টায় দেশে দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন শুরু হয় এবং ১৯৭৫ সালে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি অর্জন করে। এটা সকলের স্বীকার করতে হবে কমিউনিস্ট ও সমাজতন্ত্রীরা আদর্শগতভাবেই নারী মুক্তির পক্ষে কাজ করে। আমরা এটা জানি যে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ দেশে দেশে সমাজতন্ত্রিক ব্যবস্থা নারী মুক্তির পক্ষে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।