9 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ ০৯-১২-২০২২
Home / জাতীয় / শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করবে সরকার- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করবে সরকার- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নগর ও গ্রামের জীবনযাত্রার বৈষম্য দূরীকরণে সরকার কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শহরগুলো হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দু। নগরায়ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফল নয়, বরং এর প্রকৃত চালিকা শক্তি। শহরগুলোর প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের জন্য স্থিতিশীল নগর অর্থনীতি অপরিহার্য। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে নগর ও গ্রাম অঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আমাদের সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

সোমবার ২ অক্টোবর ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষে আজ রবিবার ১ অক্টোবর দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নগরের অর্থনীতি স্থিতিশীল না হলে কী ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে কোভিড-১৯ এর সময় তা লক্ষ্য করা গেছে। কোভিড-১৯ বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে মন্থর করে দিলেও আমাদের সরকার এ অতিমারি মোকাবিলায় অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে, যা আজ বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

দেশের গৃহহীন-ভূমিহীনদের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের’ মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশে আর কোনও গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ থাকবে না।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ পালনের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি‘কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ের জন্য যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জনসাধারণের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন; যাতে দেশের সব মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। একইসঙ্গে নগর ও গ্রামাঞ্চলের সুষম উন্নয়ন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার নগরগুলোকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যেমন: মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা সেতু প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বিভিন্ন উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প নগরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা শিগগিরই ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ সব যুগান্তকারী পদক্ষেপ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে স্থিতিশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দেশের আপামর জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা পাবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ লক্ষ্যে আমরা ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। বাস্তবায়িত হবে জাতির পিতার আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

সূত্র: বাসস।

আরও পড়ুন...

নতুন করে আরও ৮ হাজার রোহিঙ্গা দেশে ঢুকেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নতুন করে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ …