নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান বা জনপ্রতিনিধি না হয়েও মিশুক এবং ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা হতে প্লেট দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে শ্রমিকলীগের বড় এক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে বরিশাইল্লা আজিজুল বাহিনী। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের নিরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় বরিশাইল্লা আজিজুল বিগত কয়েক বছর পূর্বে “নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা রিক্সা চালক ইউনিয়ন” রেজিঃ নং- ঢাকা-৩৭৩২ কমিটির ব্যানারে ঢাকা থেকে রিক্সা চালকদের সংগঠনের কমিটি নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ঐ কমিটির কার্যক্রম রূপ নেয় চাঁদাবাজিতে। রিক্সার চালকদের নামে কমিটি গঠন করে বর্তমানে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও মিশুকের কাছ থেকে। মিশুক ও অটোরিক্সা প্রতি প্লেট দেয়ার নামে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত অগ্রিম এ্যাডভান্স নেয়া হচ্ছে। আর ঐ প্লেটধারী গাড়ী হতে প্রতিমাসে ১শত ৫০ টাকা থেকে ২শত টাকা হাড়ে প্রকাশ্যে চাঁদা উত্তোলন করছে আজিজুল বাহিনীর প্রায় দেড় শতাধিক চাঁদাবাজ। এরা শ্রমিকলীগের শাখা কমিটিতে অনেকে নেতা হিসেবে পদে থাকলেও আসলে তাদের প্রকৃত কাজ হচ্ছে অটো এবং মিশুক হতে মোড়ে মোড়ে চাঁদা আদায় করা। আজিজুল বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শাখা কমিটি বিক্রী করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সূত্রমতে আরও জানাযায়, চাঁদাবাজ আজিজুল বর্তমানে সদর উপজেলার পঞ্চবটি, ফতুল্লার পোষ্ট অফিস মোড়, আলীগঞ্জ, পাগলা বাজার, শাহীবাজার, ভূইগড়, জালকুড়ি, শিবু মার্কেট সহ একাধিক এলাকায় “নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা রিক্সা চালক ইউনিয়ন” এর শাখা কমিটি দিয়ে শতাধিক চাঁদাবাজ ধারা অটোরিক্সা-মিশুক হতে প্লেট দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। আর এই আদায়কৃত চাঁদার লক্ষ লক্ষ টাকা বরিশাইল্লা আজিজুল বড় মাপের একজন শ্রমিকলীগ নেতার সাথে মাসিক এবং বাৎসরিক হাড়ে ভাগাভাগি করার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া ইতিপূর্বে নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত চাঁদাবাজ আজিজুল বহুবার প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়। কিন্তু শ্রমিকলীগের বড় নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় আজিজুল বার বার অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। জামিনে মুক্ত হয়ে আজিজুল আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বর্তমানে আজিজুলের প্লেটধারী অটোরিক্সা ও মিশুকের সংখ্যা প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার। প্রতি মাসে উক্ত গাড়ি হতে ৩০ লক্ষ হতে ৪০ লক্ষ টাকা চাঁদা নিরবে উত্তোলন করছে আজিজুল।
সূত্রমতে আরও জানাযায়, আজিজুল রিক্সার চালকদের সংগঠন তৈরি করে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা- মিশুকের চালক/মালিক হতে জোরপূর্বক ইচ্ছের বিরুদ্ধে এই চাঁদার টাকা আদায় করছে। আর আজিজুল বাহিনীর আদাকৃত চাঁদার টাকার একটি বড় অংশ প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে ভাগাভাগি করার অভিযোগ করেন সাধারণ ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক ও মালিকবৃন্দরা। প্রতিদিন বহু চালক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চাঁদাবাজ আজিজুল বাহিনীর লোকজন তাদের উপর চালাচ্ছে মারধর সহ অমানবিক অত্যাচার। আজিজুল বাহিনী অনেক সময় চাঁদার টাকার জন্য মিশুক চালকদের গাড়ি আটক রেখে বাড়ি থেকে টাকা আনিয়ে গাড়ি নিবে বলে থাকে। বর্তমান সময়ে বরিশাল থেকে এসে প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা এলাকায় আজিজুল কার সেল্টারে চাঁদাবাজি করে তা নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজের অনেকেরই জানা। উনি আর কেহ নন বড় টুপি!
এ বিষয়ে প্রশাসনের প্রতি সাধারণ ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক ও মালিকেরা অচিরেই চিহ্নিত চাঁদাবাজ আজিজুলের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।