নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন, সড়ক-মহাসড়কে স্বল্প গতির গাড়ির জন্য পৃথক লেন ও সার্ভিস রোড নির্মাণ, অবৈধ রেকারিং, ডাম্পিং, নির্যাতন, হয়রানি, ব্যাটারি ছিনতাই, চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার ৫ জুলাই দুপুর ১২ টায় রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধি দল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্বদেন সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা সেলিম মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম শরীফ, সংগ্রাম পরিষদের জেলার সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, জেলা কমিটির সদস্য কামাল হোসেন, মোঃ সিরাজ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক কারণে দেশের মানুষের চলাচল ও যানবাহনের প্রয়োজন বেড়েছে। মানুষের বাহন হিসেবে রিক্সা, ব্যাটারি রিক্সা-ভ্যান ও ইজিবাইকের প্রয়োজনীয়তা তাই আজ কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। একারণেই একদিকে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা অন্যদিকে সহজ ও সস্তা পরিবহণ হিসেবে তিন চাকার এই বাহন শুধু জনপ্রিয়ই নয়
অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি, স্বল্প দুরত্বে অল্প পরিমাণের পণ্য পরিবহণ এমনকি রোগী পরিবহনেও জনগণের হাতের কাছের বাহন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এইসব বাহন। দেশেই তৈরি বলে এই বাহন নির্মাণ শিল্পে বিপুল পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। রিকশা চালানোর মত প্রচন্ড কায়িক এবং অমানবিক বাহনের বিপরীতে ব্যাটারিচালিত এইসব বাহন যেমন চালকের জন্য কিছুটা আরামদায়ক যাত্রীদের জন্যও সস্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। এটা বায়ু ও শব্দ দূষণ করে না এবং পরিবেশ বান্ধব। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয় কারিগর দ্বারা তৈরি এইসব বাহনের কিছু কারিগরি ত্রুটি থাকায় তা অনেকের কাছে বিপজ্জনক বাহন হিসেবে বিবেচিত হতো।
ইতিমধ্যেই সে সব ত্রুটি চিহ্নিত করে কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে ফলে দূর্ঘটনার হার অন্যান্য বাহনের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে।
ইতিমধ্যে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট মহাসড়ক ব্যতিত ব্যাটারিচালিত যান চলাচলে বাঁধা নেই বলে মতামত দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে গত ১০ বছর ধরে একটি নীতিমালা
প্রণয়ন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন, লাইসেন্স প্রদানসহ ৬ দফা দাবিতে ধারাবাহিক ও সুশৃঙ্খল আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে কোন প্রয়োাজন হলে সহায়তা করতে এবং চালকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় যে কোন উদ্যোগে অংশ নিতে সংগ্রাম পরিষদ প্রস্তুত। রেজিস্ট্রেশন ও নীতিমালা প্রণয়ন
সেক্টরের লাখ লাখ চালকের জীবনমান উন্নত করতে সহায়তা করবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিবন্ধন, রুট পারমিট ও লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা চালু হলে সড়কে শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এর ফলে সরকার পাবে রাজস্ব, সড়কে আসবে শৃঙ্খলা আর চালক মালিকরা পাবে স্বস্তি। যার সামগ্রিক ফলাফলে অর্থনীতিতে গতি আসবে, দুর্নীতির পথ বন্ধ হবে।