নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ নেতাদের ‘ভিড় সামলাতে না’ পেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে মঞ্চ।
শনিবার ২২ জুলাই বেলা ২টার দিকে সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরুর আগে এ ঘটনায় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের একজনের পা ভেঙে গেছে, মচকে গেছে আরেকজনের। আহতদের মধ্যে বেসরকারি বাংলা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার শিউলী আক্তার এবং ছাত্রদলের কর্মী নাঈম হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক আলাউদ্দিন বলেন, “নাঈমের বাম পা ভেঙেছে, তাকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক শিউলির বাম গোড়ালি মচকে গেছে। আমরা দুজনের পা প্লাস্টার করে দিয়েছি।” নাঈম রামপুরা এলাকার বাসিন্দা, ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত। হাসপাতালে তিনি সংবাদিকদের বলেন, তিনি মঞ্চের পেছনের দিকে ছিলেন। হঠাৎ সেটি ‘ধসে’ পড়ে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যুবদল কর্মী সোহরাব উদ্দিন বলেন, “সময়টা ১টা ৫৫ মিনিট। মাইকে নেতারা বার বার মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ করলেও কেউ শোনেনি। এক পর্যায়ে হঠাৎ মঞ্চটি ধসে পড়ে।” সে সময় মূল সমাবেশের আগে মঞ্চে গণসংগীত পরিবেশন করা হচ্ছিল বলে জানান তিনি। মঞ্চটি ডেঙে পড়লে এতে লাল কার্পেটসহ যেসব চেয়ার ছিল, সেগুলো নিচে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। যে বড় ব্যানারটি টাঙানো ছিল, সেটাও বেঁকে যায়। পরে ছোট একটা সাদা পিকআপ ভ্যান এনে অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়। তাতে কয়েকটি চেয়ার ও বক্তৃতার ডায়াস স্থাপন করা হয়।
সেই পিকআপে চেয়ারে বসেন বিএনপি মহাসচিব, সমাবেশের সভাপতি যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।
এ দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিকাল ৩ টার আগে আগে বিএনপি জনসমাবেশস্থলে আসেন মির্জা ফখরুল। নেতা-কর্মীদের ভিড় ডিঙিয়ে তাকে নিয়ে আসতে স্বেচ্ছাসেবকদের বেগ পেতে হয়। বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে তার উপস্থিতিতে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল বেশ কয়েকটি বিভাগের পর রাজধানীতে এই ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করছে। বিএনপি মহাসচিব সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করতে না চাওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হলেও এবার সমাবেশস্থল হিসেবে ময়দানটি বেছে নিয়েছে বিএনপির সহযোগী তিন সংগঠন। এই সমাবেশে ঢাকাসহ আশ-পাশের জেলাগুলো থেকে নেতা-কর্মীো অংশ নিয়েছেন। বিকালে ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাপিয়ে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, শাহবাগ ও মৎস্যভবন এলাকাতেও নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়।