নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় অবস্থিত বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মাঝে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
গত বছর প্রতিষ্ঠানটিতে সাড়ে ৬শ’ শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হলেও এ বছর মাত্র প্রায় পৌণে ৪শ’ ছাত্রীকে লটারীর মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ দেয়া হলেও ভর্তি হতে আসা আরো ৩শতাধিক শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে দেয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় গত দু’দিন ধরে ক্ষুব্ধ অভিভাবক মহল। তারা বিদ্যালয় অভ্যন্তরে এসে তাদের সন্তানদের ভর্তির জন্য বিক্ষোভ করেন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক অভিভাবক জানান,বন্দর গার্লস স্কুল একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। আমরাও এ প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেছি। আমরা চাই আমাদের মেয়েরাও এই স্কুলে পড়ালেখা করুক কিন্তু কর্তৃপক্ষের কঠোর নিয়মের কারণে আজকে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্য অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম। কে না চায় সন্তানকে ভাল স্কুলে পড়ালেখা করাতে।
অপরাপর অভিভাবক একই শর্তে জানান, আমরা অনেক আশা নিয়ে এই স্কুলে মেয়েকে ভর্তি করাতে এসেছি আমার মেয়ে অনেক ভাল স্টুডেন্ট অথচ লটারীতে তার নাম না আসায় সে সুযোগ পাচ্ছেনা এটা খুবই বেমানান। আমরা এ থেকে প্রতিকার চাই। গত বছর যে ক’টি আসন ছিল অন্ততঃ এ বছরও যেন সেই ক’টি আসনই রাখা হয়। তা না হলে আমাদের সন্তানদের পড়ালেখা বাদ হয়ে যাবে।
তবে অভিভাবকদের সকল অভিযোগ পরিস্কার করতে প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডি’র কো-অপ্ট সদস্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর ইসরাত জাহান খান স্মৃতি বলেন,অভিভাবকরা স্বাভাবিকভাবেই সন্তানদের ভাল প্রতিষ্ঠানে এডমিশনের চেষ্টা করেই থাকেন। কে না চায় তার সন্তানটি ভাল একটি প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করুক। তবে বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি নিয়ে যে অভিযোগ তুলেছে তা সঠিক নয়। তাদের এখানে বুঝার ভুল আছে। কেন না। ভর্তি আসন শিথিল অর্থাৎ কমিয়ে আনার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের কোন হাত নেই। এটা সম্পূর্ণ বোর্ডের এখতিয়ার। মূলতঃ আগে বন্দর গার্লস স্কুলে সাড়ে ৬শ’ ছাত্রী ভর্তির করা হতো এটা সঠিক। আমাদের সেইধরণের ব্যবস্থাপনাও রয়েছে। কিন্তু নতুন শিক্ষা নীতির আওতায় এবার শাখা প্রতি ৫৫জন শিক্ষার্থী ভর্তির কড়াকড়ি নির্দেশণা দেয়া হয়েছে। সুতরাং বন্দর গার্লস স্কুলের ৭টি শাখায় ৩শ’৮৫জনকে লটারীর মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ আইন সম্মত। কাজেই যেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বোর্ড সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কঠোর নির্দেশণা দিয়েছেন সেখানে সেই নির্দেশনা উপক্ষা করার এখতিয়ার কারো নেই।
অপরাপর অভিভাবক প্রতিনিধি কাজী সাইদুর রহমান শাহিন জানান,আমাদের প্রতিষ্ঠান সরকারি নিয়ম নীতির মধ্য দিয়েই পরিচালিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। অভিভাবকরা হয়তো বিষয়টি জানেন না যে কারণে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধাচরণ করছে। আজকে যারা ভর্তি হতে পারছেন না তাদের জন্য আমাদেরও খারাপ লাগবে। কেন না তারা এই স্কুলের আশে পাশের বাসিন্দা। আমরাও চাই এই বিদ্যালয়ে সবাই পড়ুক। কিন্তু আমাদের হাত পা বাধা সরকারী নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করা যাবেনা।