নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : ডাক্তার নয় এবার আয়া দিয়ে হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি করার সময় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৬ র্মাচ (বৃহস্পতিবার) রাতে বন্দর ছাঁয়ানূর ক্লিনিকে এ ঘটনাটি ঘটে। আয়াদের অপচিকিৎসা নবজাতকের মৃত্যু ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আইন সহয়তা না দিয়ে উল্টো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান স্থানীয় কতিপয় হোমরা চোমরা।
জানা গেছে, গত ২৬ র্মাচ (বৃহস্পতিবার) সকালে বন্দর থানার হাফেজিবাগ এলাকার হানিফ মিয়ার স্ত্রী রতনা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে তার আত্মীয় স্বজনরা রতনা বেগমকে ৭ হাজার টাকা চুক্তিবদ্ধ করে ছাঁয়ানূর ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে ওই দিন রাত ১টায় রতনা বেগমের আবারও প্রসব বেদনা শুরু হয়। ওই সময় উল্লেখিত ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক না থাকায় ওই ক্লিনিকের আয়া তাসলিমা বেগম ও আঁখি মিলে রতনা বেগমকে ওটিতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রতনা বেগমকে নরমাল ডেলিভারি করার সময় তাদের অপচিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আয়া তাসিলিমা ও আখি জানান, আমরা রতনার ডেলিভারি করার সময় আমাদের মেডাম ডা: লিমার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ করে ডেলিভারি করি। বাচ্চা পজিশন ভালো না থাকায় আমরা বাচ্চাটিকে বাঁচাতে পারিনি। আমাদের মেডাম যেভাবে করতে বলেছে আমরা সেই ভাবে করেছি।
এ ব্যাপারে ছায়া-নূূর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সেন্টারে চেয়ারম্যান ডাঃ লিমার সাথে আলাপ কালে বলেন, রোগী আসার কিছুক্ষন পরেই ডেলিভারি হয়। বাচ্চা কান্না না করায় কিছুক্ষন অক্সিজেন দিয়ে রাখি। কিছুক্ষন পর বাচ্চাটা মারা যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহন করব।