নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : পূর্ব শত্রুতার জেরে পশ্চিম দেওভোগ (নূর মসজিদ) আর্দশনগর এলাকায় পরিকল্পিত ভাবে মোঃ শরীফ নামের এক ব্যবসায়ীকে দিনের বেলা প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে খুঁন করা হয়েছে।
বুধবার ১লা এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১১টার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ (নূর মসজিদ) আর্দশনগর এলাকায় শিমুলের গ্যারেজের সামনে আলাল মাদবরের ছেলে মোঃ শরীফ (৩০) কে হঠাৎ অতর্কিত হামলা করে একই এলাকার দেওভোগের চিহ্নিত শামীম মেম্বারের ক্যাডার বাহিনীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়ে ব্যবসায়ী মোঃ শরীফ ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানায়, ব্যবসায়ী মোঃ শরীফ আমাদের আর্দশনগর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ইলেক্টনিক্স ও ফার্নিচারের ব্যবসা করে আসছে। নিহত মোঃ শরীফ একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে সুপরিচিত। সম্প্রতি নিহত শরীফের ব্যবসায়ে ইর্ষাণিত হয়ে কাশীপুর ইউপি-৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার শামীমের ছত্র-ছায়ায় থাকা সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীর কিশোর গ্যাং প্রধান বড় শাকিল, লিমন গংরা বিভিন্ন ভাবে চাঁদা দাবি করে আসছে। দাবীকৃত চাঁদা দিতে নিহত শরীফ অনিহা প্রকাশ করায় বিভিন্ন ভাবে সন্ত্রাসীরা তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এ বিষয়ে এলাকায় বিগত ৩ মাস পূর্বে কাশীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিচার শালিস করেছে। সেই বিচারেও বিচারকবৃন্দরা ব্যবসায়ী শরীফের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে সন্ত্রাসী শাকিল,লিমন ও লালনদের দিয়ে দেয়। কিন্তু এতেও তারা সন্তুষ্ট না হয়ে গত তিনদিন পূর্বে একবার হামলা চালায়। ঐ ঘটনায় জেরে নিহত ব্যবসায়ী মোঃ শরীফ প্রতিবাদ করলে বুধবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আর্দশনগর এলাকার হালিম মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং প্রধান বড় শাকিল, বাদশা মিয়ার ছেলে চিহ্নিত ক্যাডার লিমন, রিপন মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী ছোট শাকিল, সাহাবউদ্দিন মিয়ার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী লালন, গিয়াসউদ্দিন মিয়ার ছেলে আশিক, মৃত খোকন মিয়ার ছেলে রাজু, শাহজাহান মিয়ার ছেলে সূর্য, আরিফ মিয়ার ছেলে শান্তসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন স্বসস্ত্র কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। গুরুত্বর রক্তাক্ত আহত ব্যবসায়ী মোঃ শরীফকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এতে দিনের বেলা প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী মোঃ শরীফ ছুরিকাঘাতে নিহত হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম মুঠোফোনে জানায়, আমরা খুঁনের ঘটনার সাথে সমপৃক্তদের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করেছি। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা নং-২- ০১/০৪/২০২০ইং দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।