নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ১০ জন।
শনিবার বিকেল সারে ৩ টায় সোনা্রগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কারণে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে টিয়ার সেল ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শনিবার জেলায় জেলায় ছিল পদযাত্রা কর্মসূচী। এজন্য বিকেল ৩টা হতেই জেলা বিএনপির সেক্রেটারী গোলাম ফারুক খোকন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু,ও আজহারুল ইসলাম মান্নানের অনুসারী এবং আড়াইহাজারের মাহমুদুর রহমান সুমন, সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কাঁচপুরে জড়ো হতে থাকে। তবে আগে থেকে মোতায়েন করা পুলিশ নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
বিকেল সাড়ে ৩টায় কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে লাঠি-সোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা এসময় পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের সড়কে অবস্থান নিতে বাঁধা দিলে এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে নেতাকর্মীরা রাস্তা থেকে সরে গিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হয়ে পুলিশের উপর আবারও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। প্রায় আধা ঘণ্টা খানিক ধাওয়া পাল্টার সময়ে পুলিশ টিয়ার সেল ও ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে অবস্থান নেওয়ার সময়ে পুলিশ এসে অতর্কিত লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের উপর টিয়ার সেল ও গুলি ছুড়েছে। এতে সংঘর্ষ শুরু হয় এসময় আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাওলাউ মারমা বলেন, বিনা অনুমতিতে মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।