নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া যে কোন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত করে আসছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর কোম্পানী কমান্ডার উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লীডার এ কে এম মুনিরুল আলম স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউজ ব্যাংক ২৪ কে জানান, গত ৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন খান বাড়ীর মোড় এলাকা হতে অটোচালক মাসুম হাওলাদার নিখোঁজ হন।
পরবর্তীতে গত ৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কুশিয়ারা এলাকা হতে অটোচালক মাসুম হাওলাদারের লাশ পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ শিরিন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-৫/৪৩২, তারিখ-০৭/১১/২০২২ ইং। ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় যা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ উক্ত হত্যা মামলার অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ রাতে র্যাব-১১, সিপিএসসি ও সিপিসি-১ কোম্পানীর
যৌথ আভিযানে মূল পরিকল্পনাকারী আসামী “মোঃ সালাউদ্দিন ওরফে সনি (৩৮)” পিতা- মোঃ সিদ্দিক, সাং- কুমারপাড়া, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ’কে সদর মডেল থানাধীন ডিআইটি মসজিদ এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম পেশায় একজন অটোচালক। ভিকটিমের স্ত্রী ধৃত আসামীর হুশিয়ারিতে কাপড় প্রসেসিং এর কাজ নেয় মাস কয়েক আগে। কাজের সুবাদে আসামীর সাথে ভিকটিমের স্ত্রীর পরিচয় হয়
এবং অল্প সময়ে তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্কের মাস তিনেক যেতেই বিষয়টা জানাজানি হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম তার স্ত্রীকে কাজে যেতে নিষেধ করেন এবং এ নিয়ে ভিকটিম ও তার স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়। আসামির হুশিয়ারিতে ভিকটিমের স্ত্রী কাজ বন্ধ করলে আসামী ভিকটিমের প্রতি ক্ষিপ্ত হয় এবং আসামী ভিকটিমকে নানা ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে আসামী ভিকটিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং সেই কাজে আসামী তার অপর সহযোগী রানাকে কাজে লাগায়। পেশায় রানাও একজন অটো চালক। নিখোঁজের দিন রানা ভিকটিমকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই রানা এবং সনি মোবাইল ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগ রক্ষা করছিল এবং যেদিন লাশ পাওয়া যায় সেদিন থেকে রানা এবং সনি একসাথে আত্মগোপনে চলে যায় এবং তাদের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মোঃ সালাউদ্দিন
ওরফে সনি উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।
উক্ত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হন্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ তৎপর রয়েছে।