8 Agrohayon 1431 বঙ্গাব্দ ০৯-১২-২০২২
Home / রাজনীতি / নাঃগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিভিন্ন দাবীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নাঃগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিভিন্ন দাবীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : বন্ধকৃত ২৫টি রাষ্ট্রীয় পাটকল আধুনিকায়ন করে চালু করার দাবীতে নারায়ণগঞ্জে বাম জোটের সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিতহয়।

* রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল কর
* পিপিপি বা লিজ নয়, আধুনিকায়ন করে অবিলম্বে চালু কর
* পাট শিল্পে লোকশানের জন্য দায়ীদের শাস্তি দাও
* সরকারি-বেসরকারি পাটকলে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা কর

উপরোক্ত দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে রবিবার ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২০ বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চাষাড়াস্থ শহিদ মিনারে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, ন্যাপ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী ফোরামের সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, শহিদুল আলম নান্নু, বিমল কান্তি দাস, মশিউর রহমান খান রিচার্ড সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যখন সারা পৃথিবীতে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে, সে সময়ে পাটকল বন্ধ করা জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করা। পাট এবং পাটকল আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পর্কিত। ফলে পাটকল বন্ধ করা মুক্তযুদ্ধের চেতনা ও অঙ্গীকারের সাথেও বিশ্বাস ঘাতকতা করা। আমাদের সংবিধানেও রাষ্ট্রীয়খাত প্রধান, ২য় সমবায়, ৩য় ব্যাক্তিখাত অথচ সরকার ব্যক্তিখাত কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানকে লংঘন করে চলেছে। লোকসানের মূল কারণ পুরোনো যন্ত্রপাতি, অদক্ষ ও মাথাভারী প্রশাসন, সময়মতো অর্থ ছাড় না দেয়া, পাট পণ্যের বহুমুখীকরণ না করা এবং দুনীতি, লুটপাট। ফলে ১২শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে আধুনিক করণ করলে লাভজনক করা সম্ভব। পিপিপি বা লিজের নামে জনগণের সম্পদ ব্যক্তি মালিকদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে । ৪০ লাখ পাট চাষিসহ পাট সংশ্লিষ্ট প্রায় ৪ কোটি মানুষ ক্ষতি গ্রস্থ হবে সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের কারণে। রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকলগুলো বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার গত ৪৮ বছরে ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা লোকসানের কথা বলেছে । অথচ গত ১০ বছরে উৎপাদন না করে ক্যাপাসিটি চার্চবাবদ রেন্টাল কুইক রেন্টালগুলোকে সরকার ভর্তুকী দিয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকা। পাটকলগুলোর লোকসানের জন্য দায়ী মন্ত্রনালয় বি জে এম সি ও মিল পরিচালকরা অথচ এর দায় চাপীয়ে দেয়া হয়েছে শ্রমিকদের উপর।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বন্ধকৃত ২৫াট পাটকল আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় চালু করার জোর দাবি জানান।

আরও পড়ুন...

বৈষম্যমূলক শ্রম নীতি’র কারনে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না- মুফতী মাসুম বিল্লাহ 

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট :  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি জননেতা মুফতী মুহাম্মদ মাসুম …