নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : গত সোমবার ১৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকায় “সেমাই কারখানায় কথিত ফটো সাংবাদিকদের হানা” শীর্ষক সংবাদে ফটো সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করে প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয় জানিয়ে প্রকৃত ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সংবাদকর্মীগণ।

প্রকৃত ঘটনার ব্যাখ্যায় তারা জানান, গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে সংবাদে প্রকাশিত উল্লেখিত সাংবাদিকগণ জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য সৈয়দপুর সুকুমপট্টি এলাকায় যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে আনন্দ ফুড এর সেমাই কারখানার সামনে দিয়ে অতিক্রম করার সময় কারখানার শ্রমিকরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে কারখানার মূল ফটকটি বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা কারখানার মূল ফটকের সামনে গিয়ে ভিতরে থাকা শ্রমিকদের ফটক খোলার জন্য বলেন। কিন্তু শ্রমিকরা ভিতর থেকে ফটক না খুলে একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে কারখানার মালিকের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন। পরবর্তীতে ভিজিটিং কার্ডের নাম্বারে কল দিয়ে কারখানার মালিকের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালিগালাজ করেন। এছাড়াও প্রেস ক্লাবের সদস্য তার ভাই এবং বিষয়টি প্রেসক্লাবে অবহিত করবেন বলে জানান।
পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান, কারখানার মালিক ফারুক আহমেদ রিপন। সে দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে অস্বাস্থকর ও নোংরা পরিবেশে অনুমোদনহীন লাচ্ছা সেমাই তৈরী করে বাজারজাত করে আসছে। গত বছরও এ কারখানায় র্যাব ১১’র একটি দল অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান ভেজাল লাচ্ছা সেমাই জব্দ এবং আর্থিক জরিমানা সহ কারখানাটি সিলগালা করে দেয়।
উল্লেখ্য, এই ফারুক আহমেদ রিপন কিছুদিন পূর্বে প্রতারনার মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী হিসেবে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক আটক হয়ে জেলও খেটেছে। যে সংবাদটি স্থানীয় বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকাতেও গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছিলো। অতএব প্রকাশিত সংবাদটির বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।