নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ভোলার চরফ্যাশনে টাকা চুরির অপবাদে ইয়ামিন (১৩) নামের মাদরাসা ছাত্রকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষক হাবিবের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার দুলারহাট থানা এলাকার আল-জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদরাসা হিফয্ বিভাগ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটিকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন উপজেলার দুলারহাট থানা এলাকার নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। সে ওই মাদরাসার হিফয্ বিভাগে পড়াশোনা করত।
এদিকে শিশুটিকে নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ছবি বুধবার (৩ এপ্রিল) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি প্রকাশের পর মাদরাসা থেকে লাপাত্তা অভিযুক্ত শিক্ষক।
নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন হোসেনের পরিবারের অভিযোগ, ইয়ামিনকে ২০ রমজানে তার মাদরাসা শিক্ষক হাবিব ইতেকাফে বসতে বলেছিল। কিন্তু ইয়ামিন ইতেকাফে না বসে ওইদিন রাতে চুরি করে বাড়িতে চলে যায়। পরদিন সকালে সে মাদরাসায় আসলে শিক্ষক হাবিব ‘টাকা চুরির অপবাদ’ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ইয়ামিনকে বেধড়ক মারধর করে মাদরাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে একদিন পর পরিবারের লোকজন ওই তালাবদ্ধ কক্ষে গিয়ে ইয়ামিনকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম জানান, মাদরাসার ছাত্র ইয়ামিনকে মারধর করার কারণে সহকারী শিক্ষক হাবিবকে মাদরাসা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মোহতামিম সাহেব সৌদি আরব থেকে ওমরা হজ্ব করে দেশে আসলেই হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।