নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : কক্সবাজারের টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে লালমনিরহাটে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার মিশনমোড় গোল চত্বরে বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টির আহ্বায়ক হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃতে প্রতীকি লাশ নিয়ে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।
কার্যক্রম চলাকালে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ দুটি সব সময় বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন ও সীমান্তে প্রতিনিয়ত হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার হিসাবে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৭৬ জনকে বিএসএফ হত্যা ও ১ হাজার ১৮৩ জন আহত হয়েছে। মিয়ানমার ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। মিয়ানমারের আভ্যন্তরীন যুদ্ধের মটারসেলের আঘাতে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে।
গণশক্তি পার্টির সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তহত্যা ও আগ্রাসন বন্ধে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ২০২০ সালে প্রতীকি লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা-কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছে দলটি। এবার ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে লালমনিরহাটসহ সব সীমানাবর্তী জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি যশোহর সীমান্তে প্রতিবাদের মধ্যদিয়ে এই কর্মসূচি পালন শেষ হবে।