নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপির মধ্যে কোন শৃঙ্খলা নেই। কেন্দ্রীয় নেতার সামনে দাঁড়িয়ে বিএনপি বিএনপি তারা মারামারি করছে। নারায়ণগঞ্জে আমি দেখলাম (বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচীতে) একজনকে মারতে মারতে রাস্তায় ফেলে রেখেছে। আর যদি মারা যেত তাহলে বলতো আওয়ামী লীগ মারছে। যে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় সেই দলের মধ্যে এর থেকে ভালো কিছু আমরা আশা করতে পারি না। আওয়ামী লীগের উপর দোষ চাপাতে বিএনপি নিজেরাই মারামারি করছে।
গত মঙ্গলবার ২৩ মে দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি দক্ষিণপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহন শেষে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বলেন।
এ সময় শামীম ওসমান আরো বলেন, এবার অনেকেই রেগে গেছেন। দলের ভিতরে ও জনগণ অনেকই ক্ষেপে গেছেন। আমি কিন্তু একটুখানিও অবাক হইনি। যে এই কথাটি বলেছে কোন চাঁন্দু নাকি চাঁদ নাম জানি সে কথাটি বলেছে। ও কথাটি তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এটিই তাদের দলের আদর্শ। আমরা একটা কথাই বলতে চাই জনগণ বুঝতে পারে এ ধরনের কোনো বক্তব্যে ভদ্র লোক ভালো মানুষ গ্রহণ করে না। তারা বাংলাদেশ একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বাহিরের দেশ থেকে টাকা আসছে। তারা দেশটিকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তারা দেশটাকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায়। পাকিস্তান যেভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়েছে বাংলাদেশকে তারা সেদিকে নিয়ে যেতে চায়। তবে আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ বর্তমান ইয়ং জেনারেশন অনেক সচেতন। আল্লাহর রহমতে তারা কিছুই করতে পারবে না। আগামী নির্বাচন সঠিক সময়ে হবেই। আমার বিশ্বাস এ আল্লাহর ঘর মসজিদে দাঁড়িয়ে দৃঢ়তার সাথে বলছি শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।
তিনি বলেন, তারা ২১ বার জাতির পিতার কন্যাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। ২১বার যাকে হত্যার চেষ্টা করো তাকে মারতে পারিনি। এই আল্লাহর ঘরে দাঁড়িয়ে বলছি তাদের বোঝা উচিত যে আল্লাহ যাকে রক্ষা করেন মারার ক্ষমতা কেউ রাখেনা। যদি মারার
ক্ষমতা রাখতেন তাহলে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায়ই উনি মারা যেতেন। ১৬ জুই যখন আমাদের উপরে বোমা হামলা হলো আমরাও মারা যেতাম।
শামীম ওসমান বলেন, জাতির পিতার কণ্যাকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে এ বিচারের দায়-দায়িত্ব আমরা দেশের জনগণের উপর দিলাম। আর তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চায় যারা শেখ হাসিনাকে মারতে চায় আপনারা চেষ্টা করেন বাঁচানোর মালিক ও আল্লাহ মারার মালিকও আল্লাহ। ২১ বার চেষ্টা করে কিন্তু তাকে মারতে পারিনি। কারণ বাংলাদেশের মানুষের দোয়া তার সাথে আছে। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের মাথার উপরে উনি ছাদ দিয়েছেন। কোভিড কালীন সময়ে যারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন ধ্বংস হয়ে গেছে তখনও কিন্তু তিনি মানুষের মাথায় ছাদ দিয়েছেন। ওই যে চোখের পানি, মুখের হাসি আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেয় না। সুতরাং আল্লাহ সুবাহানাতালা আল্লাহ গফুরুর রাহিম শেখ হাসিনার উপরে রহমতে চাদর দিয়ে রেখেছে উনারা কিছুই করতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউজ্জামান বদুর সভাপিতেত্ব ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈমানী বাংলাদশে এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী।
বিশেষ বক্তা হিসেবে আরো ওয়াজ করেন মুফতী আনোয়ার হোসাইন আল-ক্বাদেরি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি ওমর আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সামছুল আলম বাচ্চু,
জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদ ও আব্দুল কাইয়ুম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিলেন শফিকুল ইসলাম, রাসেল শেখ, হাসান, ইব্রাহিম, সোহেল, আশরাফ, জাহাঙ্গীর, ফয়সাল, সাইফুল।
মাহফিল পরিচালনা করেন মুফতি বেলাল আহমদ।