নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া সকল বেতন ও পূর্ণ ঈদ বোনাস পরিশোধ,মজুরি আন্দোলনের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হয়রানি বন্ধ, ঘোষিত নূন্যতম মজুরি বাস্তবায়ন, শ্রমিক ছাঁটাই ও নির্যাতন বন্ধ, মহার্ঘ ভাতা প্রদান, রেশন ব্যবস্থা চালু করার দাবিতে বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ বিকেল ৪ টায় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জি-স্কপ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সংগঠক ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা শাখার সভাপতি এম এ শাহিনের সভাপতিত্বে এবং জি-স্কপ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সংগঠক ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জি-স্কপ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী রুহুল আমিন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জি-স্কপ এর কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সৈয়দ হোসেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি রায়হান শরীফ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছরই শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ২০ রোজার মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ ঈদ বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানানো হয়। কিন্তু মালিক পক্ষের একটি অংশ সেটা পরিশোধ নিয়ে প্রতিবারই সময় ক্ষেপন করে এবং বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাসের পরিবর্তে বেতনের টাকা কমিয়ে ও বোনাসের নামে বকশিশ নামক একটা কিছু দিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে অরাজকতা তৈরি করে। এই প্রেক্ষিতে বকেয়া বেতন ও পূর্ণ ঈদ বোনাস নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি থাকা জরুরি। কিন্তু গত ২০ মার্চ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধের সুনির্দিষ্ট কোন ঘোষণা ছাড়া সাধারণভাবে ঈদের আগে পরিশোধ করার কথা বলা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে মালিকপক্ষকে সময় ক্ষেপণ করার ও বেতন, বোনাস নিয়ে তালবাহানা করার সুযোগ করে দেয়া হলো। নেতৃবৃন্দ : শ্রম মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট সময় বেধে না দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রত্যাহারের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন : মজুরি আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের কোন সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করা হয়নি। অথচ মজুরি আন্দোলনে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের
করে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। সরকার ঘোষিত ১২,৫০০ টাকার ন্যূনতম মজুরি শ্রমিকরা প্রত্যাখ্যান করলেও সে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নে বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে, গ্রেডে ফাঁকি দিচ্ছে, এর প্রতিবাদ করলে শ্রমিক ছাঁটাই- নির্যাতন ও মামলার হুমকিতে ফেলছে।
নেতৃবৃন্দ শ্রমিক ছাঁটাই-দমন- নির্যাতন বন্ধ করে অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া সকল বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ করতে সরকার ও মালিকপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান। এখনো সকল গার্মেন্টসে বকেয়া বেতন,পূর্ণ ঈদ বোনাস পরিশোধ করা হয় নাই। মহার্ঘ ভাতা প্রদান সহ রেশন ব্যবস্থা চালু করতে
দাবি জানান। অন্যথায় এ নিয়ে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকার ও মালিক পক্ষকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।