নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য সম্বলিত শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম মন্দির ও নিতাইগঞ্জের শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়ার পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় তিনি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে আসেন।
এসময় পুলিশের আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। সেই সম্প্রীতির একটি প্রমাণ পূজা উদযাপন। সারা দেশে ৩২ হাজারের বেশি পূজা মন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। যার যে ধর্ম, যার যে ধর্মমত সে অনুযায়ী উৎসব পালন করা, তাদের ধর্মের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা বাংলাদেশ পুলিশসহ সকল ধর্ম মতের মানুষ নিশ্চিত করছি, সকলে নিজের স্ব স্ব ধর্ম পালন করতে পারেন। পূজা নিয়ে কোন অপতৎপরতা, কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা আমরা সহ্য করবো না, আমরা করছিও না। ইতিমধ্যে গুটি কয়েক ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামি গ্রেপ্তার, মামলা রুজু, জিডিকরণসহ সকল আইনী ব্যবস্থা দ্রুততার সাথে নেয়া হয়েছে।
আইজিপি আরও বলেন, সকলকে আবার আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ান, উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, তিনটি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সহ সকল বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে, যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না হতে পারে। যারা অপতৎপরতা চালাতে চায়, তারা দেখতে চায় আমাদের কোথাও গ্যাপ আছে কিনা। সেই জন্য আমরা সজাগ আছি। আপনারাও সজাগ থাকবেন। আমাদের তাৎক্ষনিক ব্যবস্থার চ্যানেল আছে ৯৯৯, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, রেঞ্জ পুলিশের কন্ট্রোল রুম থানা ও জেলা পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের এন্টি এমসি তৎপর আছেন। আশা করছি কোথাও কিছু ঘটবে না। যদি কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঘটাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে তথাকথিত গডফাদারসহ অনেকে অপতৎপরতা চালিয়েছে। আমরা এ গড়ফাদারদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা সন্ত্রাসী কার্যকালাপ করবে, যারা সন্ত্রাসকে লালন পালন করবে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হবে তারা যেন এ পথে পা না বাড়ায়। সে সন্ত্রাসী কি আছে এখানে, কেউ নাই। বাংলাদেশের লোমহর্ষক একটি হত্যাকান্ড, নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যার তদন্ত দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখার চেষ্টা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম এগোতে দেয় নি। আমরা সেই তদন্ত শুরু করেছি। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত আবার শুরু হয়েছে। আমরা চাই ঘটনা যদি ঘটে সেটাকে প্রতিহত করা। ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত তদন্ত করতে পারি এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পারি। পুরোনো মামালার তদন্তও শুরু হয়েছে।
এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।